দীর্ঘদিন পরিবার থেকে নিখোঁজ থাকা ১০ যুবকের খোঁজ মিলেছে। খোঁজ পাওয়া যুবকদের তিনজন বিদেশে রয়েছেন। বাকীরা দেশেই অবস্থান করছেন। খবর বাংলানিউজের
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যুবকদের কেউ স্ব-শরীরে পরিবারে ফিরেছেন। আবার কেউ কেউ ফোনে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মেহেদী হাসানকে রাজধানীর উত্তরার রাজলক্ষ্মী এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ইতালিতে পড়াশোনা করতে গিয়ে নিখোঁজ রোমিও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান তার বাবা জাহাঙ্গীর আলম।
এছাড়া সাইফুল ইসলাম শাকিল, এস এম তাহসান, বাদশা আলী মোস্তফা কামাল, রাশেদ গাজী, মামুন মিয়া, জিলানী ওরফে আবু জিদালের খোঁজ মিলেছে বলে জানিয়েছেন পরিবার।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর সারাদেশে সন্দেহভাজন নিখোঁজদের তালিকা প্রকাশ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপরই স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ১০ যুবক।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, নিখোঁজদের তালিকা প্রকাশের পর বেশ কয়েকজন ফিরে আসার খবর পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলো যাচাই-বাচাই করে দেখছি।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। কি কারণে তারা নিখোঁজ রয়েছেন তার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে।
যুগ্ম কমিশনার বলেন, জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িয়ে যারা নিখোঁজ হয়ে বিদেশে চলে গেছে, তাদের দেশে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছি। আর যারা পরিবার থেকে নিখোঁজ হয়ে দেশেই জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত রয়েছেন তাদের খুঁজে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
র্যাবের তালিকায় নিখোঁজ মেহেদি হাসানের সন্ধান পেয়েছে তার পরিবার। তার বাবা মহসিন জানান, প্রায় দু’মাস নিখোঁজ থাকার পর আমি আমার সন্তানের সন্ধান পেয়েছি। উত্তরার একটি বাসা থেকে ছেলেকে ফিরে পেয়েছেন বলে জানান মহসিন।
ইতালিতে পড়াশোনা করতে গিয়ে কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ ছিল রোমিও। তার বাবা জাহাঙ্গীর আলম জানান, রোমিও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/২২ জুলাই ২০১৬/শরীফ