গাজীপুরের শিল্পনগরী টঙ্গীর ট্যাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেড নামের প্যাকেজিং কারখানা এলাকায় এখন শুধুই স্বজনের আহাজারি। শনিবার ভোরে আগুনে কারখানাটি পুরোপুরি ভষ্মিভূত হয়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন অর্ধশতাধিক। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে ছবি, পরিচয়পত্র, অফিস আইডি কার্ড নিয়ে দিনভর ধ্বংসস্তুপের আশপাশে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেক মা, বোন, ভাই, বাবা, স্ত্রী, স্বামী। রাতেও রয়েছেন কেউ কেউ।
কথা হয় ওই কারখানার ম্যাকিং অপারেটর মুরাদের পিতা আবু তাহেরের সাথে। তিনি বলেন, ''গত শুক্রবার রাতে অফিসে যায় মুরাদ। এরপর সকালে সে বাসায় ফেরেনি। এরপর খবর পেলাম কারখানায় আগুন লেগেছে, পরে কারখানায় আমরা ছুটে আসি। এসে আমার ছেলে মুরাদের কোন খোঁজ পাইনি। এমনকি কোথাও তার লাশও পাইনি। আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছি। আমার মুরাদ কই? আমার মুরাদরে আইন্যা দেও।''- কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন অসহায় পিতা।
এদিকে নিখোঁজ আনিসুর রহমানের বড় ভাই শাহজালাল বলেন, ভাই সকাল থেকেই ছোট ভাইয়ের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি। কোথাও পাইনি। আমার ভাইয়ের লাশও পাইনি।
প্রিন্টিং অপারেটর জহিরুল ইসলামের এক স্বজন আলাউদ্দিন বলেন, গতকাল সকালে ফজর নামাজ শেষে কারখানায় যায় জহির। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজ নেই।
ওই কারখানার পাশে জেলা প্রশাসন কৃর্তক নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুযায়ী নিখোঁজ ১১জন ব্যক্তিরা হলেন-মমতাজ আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৪৩), শ্রী দিলীপের ছেলে রাজে বাবু (২২), মোজা মোল্লার ছেলে চুন্নু মিয়া (২২), আবু তাহেরের ছেলে রিয়াদ হোসেন (২২), ছালেক মোল্লার ছেলে আজিম উদ্দিন (৩৫), আব্বাসের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৪), তোফাজ্জলের ছেলে মাসুম আহমেদ (২৮), খালেকের ছেলে কাজিমুদ্দিন (৩৬), আবুল হোসেনের ছেলে জহিরুল (৩৭), সুলতান গাজীর ছেলে আনিসুর রহমান ও ইউনুসের ছেলে নাসির উদ্দিন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ