গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্প নগরীতে ট্যাম্পাকো ফয়েলস প্যাকেজিং কারখানার চারতলা থেকে আজ সোমবার সকালে আরও দু'জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে আজ সকালেও কারখানার পূর্ব পাশের ভবনের আগুন নেভানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগুনের কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী এখনও দেখা যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পানি দিয়ে কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা কারখানার দক্ষিণ পাশের ছয় তলা ভবনের চার তলা থেকে সকাল পৌনে সাতটার দিকে দু'জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এদিকে গত রাতে সেনাবাহিনীর ১২ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল আজমের নেতৃত্বে এক প্লাটুন সেনা সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণের পর প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে আজ সোমবার থেকে সেনা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজে অংশ নেবেন।
শনিবার সকাল ৬টার দিকে টঙ্গীর বিসিক শিল্প নগরী এলাকার ট্যাম্পাকো ফয়েলস প্যাকেজিং কারখানার নীচ তলায় আগুন লাগে। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে ২৪ জন নিহত হন। রবিবার হাসপাতালে একজন মারা যাওয়ার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে চারটি এবং সোমবার সকালে আরও দু'জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। তবে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রথমে ছয়টি লাশ উদ্ধার করার কথা বলা হলে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওই হিসেবের প্রেক্ষিতে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক লে. কর্নেল মোশাররফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আসলে মরদেহ ছয় জনের নয়, চার জনের। রাত পৌনে আটটার দিকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, লাশগুলো বিকৃত ও অংশ বিশেষ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় এই ভুলবুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, পরে আমরা যাচাই বাছাই শেষে আমাদের ভুল বুঝতে পারি।এ নিয়ে কারখানাটির মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহত একজনের স্বজন।
বিডি প্রতিদিন/১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা/এস আহমেদ