সোমবার সকালে নতুন করে দু'টি লাশ পাওয়ার পর দুপুর দেড়টার দিকে আরও একটি লাশ পাওয়া গেছে টঙ্গীর ট্যাম্পাকো ফয়েলস প্যাকেজিং কারখানার ধ্বংসস্তূপে। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি। এ নিয়ে সরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩২ জনে। শনিবার ভোরে গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্প নগরীর ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে আজ সকাল থেকেও কারখানার পূর্ব পাশের ভবনের আগুন নেভানোর কাজে নামে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগুনের কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী এখনও দেখা যাচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা কারখানার দক্ষিণ পাশের ছয় তলা ভবনের চার তলা থেকে এদিন সকাল পৌনে সাতটার দিকে দু'জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। দুপুর দেড়টার দিকে আরও একটি মরদেহ পাওয়া যায়।
গত শনিবার সকাল ৬টার দিকে টঙ্গীর বিসিক শিল্প নগরী এলাকার ট্যাম্পাকো ফয়েলস প্যাকেজিং কারখানার নীচ তলায় আগুন লাগে। এতে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে ২৪ জন নিহত হন। রবিবার হাসপাতালে একজন মারা যাওয়ার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে চারটি এবং সোমবার সকালে আরও দু'টি, দুপুরে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে।
তবে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রথমে ছয়টি লাশ উদ্ধার করার কথা বলা হলে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওই হিসেবের প্রেক্ষিতে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক লে. কর্নেল মোশাররফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আসলে মরদেহ ছয় জনের নয়, চার জনের। রাত পৌনে আটটার দিকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, লাশগুলো বিকৃত ও অংশ বিশেষ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় এই ভুলবুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, পরে আমরা যাচাই বাছাই শেষে আমাদের ভুল বুঝতে পারি।
বিডি প্রতিদিন/এস আহমেদ