নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ এর ৩১(ক) ধারার কোনো প্রয়োগ আছে কিনা এবং সুপ্রিমকোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ অতীতে নিয়েছে কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আইন সচিব ও সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি জেবিএম হাসান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এ আইনে আনা এক জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণের সময় আদালত এ আদেশ দেয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে।
৩১(ক) ধারায় বলা হয়, 'কোনো মামলা এই আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি না হইলে ট্রাইব্যুনাল উহার কারণ লিপিবদ্ধ করে একটি প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে সুপ্রিমকোর্টের নিকট দাখিল করিতে হইবে। তার একটি অনুলিপি সরকারের নিকটও দাখিল করিতে হইবে। প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর যথাযথ কতৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।'
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে এবং ব্যারিস্টার মো. ওসমান আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির।
আইনজীবী কুমার দেবুল দে সাংবাদিকদের জানান, মো. মিলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের রাংগুনিয়া থানায় একটি মামলা হয়। ওই দিনই তিনি আটক হয়ে কারাগারে আছেন। ওই বছরের শেষের দিকে মামলাটি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারের জন্য যায়। এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয় চলতি বছরের ২১ মার্চ। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই মামলায় কোনো সাক্ষি আদালতে উপস্থিত হন নাই।
তিনি জানান, মামলাটি আইন অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। কিন্তু সেই সময় অতিক্রম করলেও মামলাটি নিষ্পত্তি হয়নি। তাই আসামির এই যুক্তিতে জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে। সেই শুনানির সময় আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ এর ৩১(ক) ধারাটি আদালতের নজরে আনলে আদালত ওই ধারার প্রয়োগ বিষয়ে আইন সচিব ও সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/ ০১ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-১৬