আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কেন্দ্রীয় নেতা ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের কাছে ধারণাপত্র চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। জনগণের কল্যাণ করাই আমাদের কাজ। এবারের জাতীয় সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছি আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে কোনো দারিদ্র থাকবে না। একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। এ জন্য মাঠ পর্যায়ে তালিকা প্রণয়নের নিদের্শ দিয়েছি। এখন আপনাদের (দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের) কার কী ধারণা রয়েছে তা দিন (উপস্থাপন)। দেশকে দারিদ্রমুক্ত ও ক্ষুধামক্ত করবোই। কেউ গৃহহারা, স্বাস্থ্যহীনতা ও নিরক্ষর থাকবে না।
সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের মুলতবি বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও কার্যনির্বাহী সংসদের অধিকাংশ কর্মকর্তাই উপস্থিত ছিলেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি উল্লেখ বলেন, বাংলাদেশকে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের ঠাই হবে না। দেশের মানুষ সোচ্চার হলে এসব বন্ধ হবে। ইতোমধ্যে দেশের মানুষকে আমরা সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করেছি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। এ জন্য দেশের মানুষের কাছে যেতে হবে। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানুষকে আরো সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ রুখে দেব।
প্রশ্নরেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির কাছে গণতন্ত্র কী? আন্দোলনের নামে শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা। নির্বাচন ঠেকানোর নামে তারা শত শত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। দেশব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। যারা সন্ত্রাস করেছে, তাদের নামে মামলা হয়েছে। এটা মিথ্যা মামলা নয়। যারা খুনি, সন্ত্রাসী তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। কেউ রেহাই করতে পারবে না। তিনি বলেন, যারা গ্রেনেড হামলা করে আইভী রহমানসহ ২৪জনকে হত্যা করেছে, যারা বলেছিলো, গুলি কর, মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী, তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। খুনি ও সন্ত্রাসীদের বিচার চলছে-এ বিচার চলবে।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতির পিতার যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু করেছিলেন। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে যুদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীর বিচার করছি। যেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হচ্ছে, সেই সব যুদ্ধাপরাধীদের বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মন্ত্রী-এমপি বানিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধীর বিচার যেমন চলছে, সেই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের মদদতাদেরও বিচার হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়মাী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল যার নিজস্ব অর্থনৈতিক পরিকল্পনা রয়েছে। দেশটাকে কিভাবে দেখতে চাই সেটা দলীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সরকারে এসে সেগুলো বাস্তবায়ন করি। ইতোমধ্যে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য।