চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা থেকে গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গি দম্পতি জহিরুল ইসলাম জসিম ও রাজিয়া সুলতানাকে দুটি মামলায় ১২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম হোসেন মো. রেজা শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে দায়ের করা চারটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এর মধ্যে দুই মামলায় তাদের ১৫ দিন করে মোট ৩০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মাহবুব মিল্কী।
শুনানি শেষে আদালত অস্ত্র মামলায় পাঁচ দিন এবং সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় সাত দিনসহ মোট ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুরের পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে জঙ্গি দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীতাকুণ্ড থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বুধবার বিকালে সীতাকুণ্ড পৌর শহরে 'জেএমবির জঙ্গিদের' একটি আস্তানা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ ওই দম্পতিকে গ্রেফতারের পর অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে গ্রেনেড হামলায় সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক আহত আহত হওয়ার পর থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখেন পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা।
পরে রাতভর কয়েক দফায় জঙ্গিদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গোলগুলির ঘটনা ঘটে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টার অভিযানে নারীসহ চার জন নিহত হয়। গ্রেফতার দুজন এবং নিহত চারজনের মধ্যে দুজন পরস্পরের আত্মীয়। নিহত বাকি দুজন মিরপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই যুবক।
গ্রেফতার দুজন প্রথমে নিজেদের জসিম ও আরজিনা দাবি করলেও পরে এটি তাদের সাংগঠনিক নাম বলে জানতে পেরেছে পারে পুলিশ। তাদের আসল নাম জহিরুল ইসলাম ও রাজিয়া সুলতানা। তাদের বাড়ি পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি গ্রামে। তবে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি সূত্র জানায়, গ্রেফতার আরজিনা এবং নিহত জোবাইদা দুই বোন। জসিম ও কামাল পরস্পর ভায়রা।
বিডি প্রতিদিন/১৮ মার্চ, ২০১৭/ফারজানা