মৌলভীবাজার শহরের বড়হাটে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় 'অপারেশন ম্যাক্সিমাস' শেষ হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ অভিযান শেষ হয়। অভিযান শেষে বাড়ির মধ্যে নারীসহ তিন জঙ্গির লাশ পাওয়া গেছে।
অভিযান শেষে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এ কথা জানান।
সকাল ৯টার দিকে সোয়াত, র্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশে অবস্থান নেন। পরে সকাল ১০টার দিকে সিলেট রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি কামরুল হাসান সেখানে উপস্থিত হন। এরপর সোয়া দশটার দিকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে অন্যদের সঙ্গে যোগ দেন। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ ফের শুরু হয়। অভিযানের শুরুতে সোয়াত টিম আস্তানা লক্ষ্য করে চার রাউন্ডের মতো গুলি ছোড়ে।
পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আস্তানার ভেতরে প্রবেশ করেন সোয়াত সদস্যরা। অভিযানে ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত এবং গোলাবারুদ ও অস্ত্রের মজুদ সম্পর্কে ধারণা নেওয়া হয়।
এদিকে বড়বাড়িতে নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে সিলেটে অভিযান চলাকালীন বাইরে বোমা হামলা চালানো একজন আছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকার একটি দোতলা বাড়ি এবং সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুরের একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় আইনশৃংখলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার বিকালে নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় সোয়াতের 'অপরাশেন হিটব্যাক' শেষ হয়। এতে দুই নারী ও চার শিশুসহ সাতজন নিহত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ