শিগগিরই হলি আর্টিজান মামলার চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মনিরুল জানান, নব্য জেএমবি’র সদস্য আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে র্যাশকে গ্রেফতারের পর গুলশান হলি আর্টিজানে হামলা মামলার তদন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাশেদকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। সে যদি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় অথবা না দেয়, তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা চার্জশিট তৈরির কাজ শুরু করব’।
মনিরুল আরও জানান, র্যাশ ছিল হলি আর্টিজান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সে এ হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী। গুলশান হামলায় সে অস্ত্র সরবরাহ করেছে ও হামলায় অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে। সে এই হামলার ঘটনাস্থল রেকি করা, হামলার জন্য বসুন্ধরা এলাকায় বাসা ভাড়া করায় সহযোগিতা করেছে। সে জঙ্গি আস্তানার সকল ফার্নিচার ক্রয় করে দেয়। অর্থাৎ হলি আর্টিজান হামলায় রাশেদ খুব ভালোভাবে সম্পৃক্ত ছিল।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযান চালানো হয়। ‘অপারেশন থান্ডার বোল্ট’ নামে ওই অপারেশনে ৫ জঙ্গিসহ ৬ জন নিহত হন।
বিডি প্রতিদিন/২৯ জুলাই ২০১৭/এনায়েত করিম