জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭২তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বেলা ২টা ১০ মিনিটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাজধানী আবুধাবির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় আবুধাবিতে অবতরণ করেন।
জাতীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ. স. ম. ফিরোজ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মুহাম্মদ শফিউল আলম, তিন বাহিনীর প্রধানগন,কূটনৈতিক কোরের ডিন এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
ইউএই’র রাজধানীতে যাত্রাবিরতির পর শেখ হাসিনা আবুধাবির স্থানীয় সময় অনুযায়ী রবিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন।
একই দিন নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. জিয়াউদ্দিন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে অবস্থান করবেন।
শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। একই দিন তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
শেখ হাসিনা ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত জাতিসংঘের সংস্কার বিষয়ক এক উচ্চ পর্যায়ের এবং জাতিসংঘ সদর দফতরে ‘প্রিভেনশন অব সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অ্যান্ড অ্যাবিউজ’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী অপরাহ্নে কনবেনি কনফারেন্স সেন্টারে ‘গ্লোবাল ডিল ফর ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ’ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক ফলোআপ বৈঠকে যোগ দেবেন। এর আগে শেখ হাসিনা তাঁর ভুটানী সমকক্ষ শেরিং টবগের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেবেন।
এর আগে তিনি ‘উইমেন্স ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট ফর লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’-এর ওপর জাতিসংঘ মহাসচিবের উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলের সঙ্গে এক গোল টেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে তাঁর এই জাতিসংঘ সফরের ওপর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন।
শেখ হাসিনা ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে সড়কপথে ভার্জিনিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। ভার্জিনিয়ায় এক সপ্তাহ অবস্থানের পর তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। প্রধানমন্ত্রী ২ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
সূত্র : বাসস