গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বেদগ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ আড়াইশ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠিগ্রামের লুৎফর খানের ছেলে ইউনুস খান (৪৮) ও বাগেরহাটের ফকিরহাটের শাহীন মোড়লের ছেলে মাহী মোড়ল (৪)। অন্যদের পরিচয় পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, ঢাকা থেকে পিরোজপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস ঘটনাস্থলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাঠবোঝাই ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে ট্রাকের নিচে ঢুকে যায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পথে আরও পাঁচজন মারা যায় এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়।
আহতদের গোপালগঞ্জ আড়াইশ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হতাহতদের বেশির ভাগেরই বাড়ি পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনগণ হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে হতাহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে উপ-পরিচালক চৌধুরী ফরিদুল ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/০২ ডিসেম্বর ২০১৭/সালাহ উদ্দীন/আরাফাত
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন