প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ায় তিনদিনের সরকারি সফরে যাচ্ছেন রবিবার। ওইদিন সকালে নমপেনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের আমন্ত্রণে এই সফরে যাচ্ছেন। তার এই সফরে এশিয়ার এ দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রবিবার সকালে কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনের উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে। বিমানটি একই দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় (স্থানীয় সময়) নমপেন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের নিযুক্ত মিনিস্টার ইন ওয়েটিং এবং থাইল্যন্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং কম্বোডিয়ায় বর্তমানে এ্যাক্রেডিটেড সাদিয়া মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অর্ভ্যথনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে শেখ হাসিনাকে একটি মোটর শোভাযাত্রা সহকারে হোটেল সোফিটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। কম্বোডিয়া সফরকালে তিনি এই হোটেলেই থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী বিকেলে নমপেনে স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। তিনি কম্বোডিয়ার প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুকের রাজকীয় স্মৃতি মূর্তিতে ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেয়া এক নৈশভোজে যোগ দেবেন। অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরাও যোগ দেবেন।
সোমবার দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আলোচনার পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন।
পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ১১টি চুক্তি ও ৯টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
অনুষ্ঠানে উভয় দেশের জাতির পিতার নামে ঢাকা ও নমপেনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণের ঘোষণা দেয়া হবে। পরে শেখ হাসিনা ও হুন সেন যৌথ বিবৃতি প্রদান করবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়ার রাজা নরোদম সিহানুকে’র সঙ্গে রাজকীয় স্রোতা এবং কম্বোডিয়ান সিনেট প্রেসিডেন্ট সে চুহুম ও ন্যাশনাল এসেম্বলি প্রেসিডেন্ট হেং সেমারিনের সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করবেন। তিন দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ৫ ডিসেম্বর বিকেলে দেশে ফিরবেন।
বিডি প্রতিদিন/০২ ডিসেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম