মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতের মেঘালয়ে নিজের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলি পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
শুক্রবার দুপুরে মেঘালয়ের বালাত গ্রাম পরিদর্শন করেন হামিদ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (মুজিব বাহিনী) সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসাবে এই বালাত সহ মেঘালয়ের গুমাঘাট, মৈলাম অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে ছিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সেসময় একটি বাসা ভাড়া করেই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই বাংলাদেশের তরুণ যুবকদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তিনি।
এদিন দুপুরে অাসামের গুয়াহাটি থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে মেঘালয় বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। এরপর দুইজনের মধ্যে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎও হয়। পরে সেখান থেকে দুপুরের দিকে সীমান্তবর্তী গ্রাম বালাতে এসে পৌঁছান তিনি। রাষ্ট্রপতির সাথে ছিলেন তার স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যরা। সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে গ্রামের লোকেরাই এসময় রাষ্ট্রপতির পরিবারকে স্বাগত জানান।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মারাক এবং রজত নামে যে দুই যুবক আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল এদিন সেই দুই বৃদ্ধই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে আসেন। রাষ্ট্রপতিও এই দুই পুরোনো সঙ্গীকে পেয়ে আপ্লুত বোধ করেন। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি বিজড়িত ঘটনাগুলি স্মরণ করেন তারা। বালাত বাজারে যে চায়ের দোকানে গিয়ে সেসময় চা পান করতেন এদিন সেই চায়ের দোকানেও যান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, সেখানে গিয়েই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
স্থানীয়দের সাথে সাক্ষাতের পরে রাষ্ট্রপতি জানান ‘মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বালাতের মানুষরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরই আমার আরও আগে এখানে আসা উচিত ছিল কিন্তু আমি পারিনি’।
পুরোনো দিনের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি জানান ‘মেঘালয়ের গুমাঘাট, টেকারথ, পাঞ্চারা এবং মৈলাম হয়ে আমি বালাতে পৌঁছে ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পুরো সময় জুড়ে আমি আমার দায়িত্ব সামলেছি। অবশেষে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে যাই।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন