দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, দুদকের প্রতিটি মামলার প্রতিটি আসামিকে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে। আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে তারা ঘুরে বেড়ায়? দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার আসামিরা মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়ালে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। তাই এটা হতে দেওয়া ঠিক হবে না। আজ কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভায় দুদক চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দুদক বিগত দুই বছরে ছয় শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে। অনেক আসামি এখনও আইনের কাছে আত্মসমর্পণ না করে মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় যে বা যারা আসামি হবেন তাদের হয় আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে নতুবা গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে হবে। তারা যদি মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়ান তাহলে দুর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান প্রভাব জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির ঘটনা কোথায়,কখন, কীভাবে বা কাদের সহযোগিতায় কে বা কারা ঘটিয়েছেন তার সুস্পষ্ট প্রমণাদি তদন্ত প্রতিবেদনে থাকতে হবে। ১৬১ ধারায় অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রশ্ন হতে হবে প্রাসঙ্গিক।
অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার