অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৫ হাজার ৯৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এসব খেলাপি ঋণ আদায়ে খেলাপি গ্রাহকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সংসদের ২০তম অধিবেশনে আজ টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য দেন।
এসময় ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ঋণ আদায় ইউনিটকে শক্তিশালী করতে হবে। পাশাপাশি মাঠ এবং শাখা পর্যায়ে ঋণ আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিতে হবে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রেণীকৃত ঋণ স্থিতি, শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে আদায় পরিস্থিতি, ঋণ অবলোপন, প্রভিশন সংরক্ষণ ও নতুন ঋণ আদায় বিস্তারিত প্রতিবেদন ব্যাংকের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করতে হবে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পুরস্কার বা ইনসেনটিভ প্রদান করতে হবে; ব্যর্থতায় যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া খেলাপি ঋণ আদায়ে শ্রেণিকৃত ও অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে দায়েরকৃত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগসহ মামলাগুলো যথাযথভাবে পারস্যু করতে হবে। তিনি আশা করেন, সরকার কর্তৃক প্রণীত বিভিন্ন আইনের পাশাপাশি উপযুক্ত নির্দেশনাসমূহ খেলাপি ঋণ আদায়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
প্রযুক্তি বিভ্রাটমুক্ত রাখতে ব্যাংকে ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট স্যুইচ বাংলাদেশ’
আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ব্যাংকিং সেক্টরে সকল প্রকার প্রযুক্তি বিভ্রাটমুক্ত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট স্যুইচ বাংলাদেশ’ বা এনপিএসবি পদ্ধতি চালু করেছে। দেশের আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন পদ্ধতি আধুনিকায়নে ‘অটোমেটেড চেক ক্লিয়ারিং’ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়া ছোট অংকের আর্থিক লেনদেন সম্পাদনের জন্য চালু করা হয়েছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বা মোবাইল ব্যাংকিং, যা তাৎক্ষণিকভাবে লেনদেন করতে সক্ষম।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার