জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক ও নড়াইলের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটো অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. একেএম রেজাউল করিমকে শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনিসহ সারা দেশের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে।
তিনি ছাড়া অভিযুক্ত অন্যান্য চিকিৎসকরা হলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেসপিরেটরি মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. পঞ্চানন দাশ, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিকসের রেজিস্ট্রার ডা. আইরিন আফরোজ, নওগাঁ জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা জলিল জুলি ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদা হাসান।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশ প্রাপ্তির তিন কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (৭ই মে) ওই নোটিশ হাতে পান ডা. একেএম রেজাউল করিম। নোটিশ পাওয়ার পর রাত ১২টার দিকে তিনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ করেন বলে জানান।
ডা. একেএম রেজাউল করিম গত ২৮শে এপ্রিল তার ফেসবুক টাইমলাইনে স্ট্যাটাস দেন, ‘বাংলাদেশের ডাক্তারদের বোল্ট (বোল্ড) করতেই বড়ই আনন্দ। ম্যাশ চিকিৎসার জন্য অনেকবার ডাক্তারদের ছুরি কাঁচির নিচে গেছেন। তাঁদের অনেক তোয়াজ করতে হইছে। সেই ডাক্তারের বংশোবদ পাইছি এবার।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য গত ২৫শে এপ্রিল বিকালে হঠাৎ নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। এ সময় হাজিরা খাতায় তিন চিকিৎসকের স্বাক্ষর না দেখে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস শাকুর এবং পরে অনুপস্থিত সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. আকরাম হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। কথা বলার একপর্যায়ে সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আকরাম হোসেনকে উদ্দেশ্য করে মাশরাফি মোবাইল ফোনে মেজাজ হারান। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর চিকিৎসকসহ অন্যদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তবে মাশরাফির পক্ষে অবস্থান নেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল