কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পুলিশের অতিরিক্ত আইজি রৌশন আরা বেগমের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে রৌশন আরা বেগমকে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সকালে রাজধানীর মগবাজার নয়াটোলা জামে মসজিদে প্রথম, দুপুর ১২টায় মগবাজার ওয়্যারলেস জামে মসজিদে দ্বিতীয় এবং বাদ জোহর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে তৃতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৪১ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে নিহতের মরদেহ রাজধানীর হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্ট আবাসিক এলাকার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ০৫ মে (রবিবার) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কঙ্গোর কিনসা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। রৌশন আরাকে বহনকারী গাড়ির সঙ্গে স্থানীয় একটি ট্রাকের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় গাড়িতে থাকা পুলিশ সুপার ফারজানা এবং গাড়িচালক গুরুতর আহত হন।
অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত দ্বিতীয় নারী।
শিক্ষা জীবনে রৌশন আরা রাজধানী ঢাকার মগবাজারের সাবেক টিএন্ডটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ভিকারুননিসা-নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস (অনার্স), এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন রৌশন আরা বেগম। ১৯৯৪ সালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে কক্সবাজারে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৮ সালের ৩ ডিসেম্বর তিনি প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে মুন্সীগঞ্জে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর তিনি অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পদোন্নতি পান।
পুলিশ বাহিনীতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দুইবার আইজিপি ব্যাচপ্রাপ্ত হন এবং বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুলিশ পদক ‘পিপিএম’ লাভ করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ‘অনন্যা শীর্ষ দশ-১৯৯৮’ পুরস্কার ও ২০১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব উইমেন পুলিশের স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১২ লাভ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন