ঈদ আসলেই মহাসড়কে চাঁদাবাজি, যাত্রীভাড়া ও যাত্রী হয়রানি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদীয় কমিটির সদস্যরা। একইসঙ্গে, শিশু ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বেড়ে যাওয়া, মোবাইলে পর্নোগ্রাফি বিস্তার এবং ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কমিটির সদস্যরা।
কমিটি আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সুপারিশ করে। পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধসহ আইন-শৃঙখলা বিঘ্নকারী যে কোন সম্ভাব্য অনাকাংক্ষিত ঘটনার তথ্যকে দ্রুত যাচাই করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।
সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সদস্যদের মতামতের প্রেক্ষিতে এসব সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, মো. হাবিবর রহমান, মো. ফরিদুল হক খান, পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এবং নূর মোহাম্মদ বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পুলিশ ৫৭ ধারায় কবি হেনরী স্বপনসহ নিরপরাধ মানুষ জনকে গ্রেফতার করছে। অথচ গত সাড়ে চার মাসে ৩৪৬ শিশু ধর্ষণের ঘনা ঘটেছে- বাসে নার্সকে ধর্ষণ করে হত্যা, এসব উদ্বেগজনক। ঈদ আসলে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজি বেড়ে যায়। তৃণমূল পর্যায়ে মোবাইলে পর্নোগ্রাফির বিস্তার ঘটেছে। ঈদে মানুষজন গ্রামে যাচ্ছে এসব বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে।
গংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একইসঙ্গে রেলওয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম জোরদার, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ‘ডোপ টেস্ট’ এর কার্যক্রম বিস্তার করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে ঢাকা শহরের যানজট সমস্য নিরসনে ১০ম সংসদের ২ নং সাব-কমিটির ১৯ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/প্রতিষ্ঠানের সাথে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার