কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গ্যাসের দাম বেশ কয়েকবার বেড়েছে এবং প্রতিক্রিয়াও হয়েছে, যে দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি। স্বীকার করি দাম বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গ্যাস, কয়লা বা ডিজেল লাগে। এতে আমাদের অনেক ভর্তুকি দিতে হয়। সব সময় যদি সরকারকে ভর্তুকি দিতেই হয়, তাহলে কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যাহত হবে। কাজেই সবদিক বিচার-বিবেচনা করে দাম বাড়াতে হয়েছে। এতে কিছু কিছু মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরোক্ষভাবে আমরা সবাই লাভবান হবো। সার্বিক অর্থনীতির ওপরে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের তৃতীয় বা বাজেট অধিবেশনে রবিবারের বৈঠকে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাসদের সংসদ সদস্য শিরীন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অনুপস্থিত থকায় তার পক্ষে সংসদে সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দেন কৃষিমন্ত্রী। ড. আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গ্যাস, কয়লা বা ডিজেল লাগে। এতে আমাদের অনেক ভর্তুকি দিতে হয়। এক্ষেত্রে আমাদের চিন্তা করতে হবে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে গিয়ে কিছুটা দাম বাড়লেও এর নানামুখী প্রভাব, অর্থাৎ শিল্প কারখানা স্থাপনসহ সার্বিক অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব পড়বে, সেটা বিবেচনা করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বড় প্রয়োজন শিল্প কারখানা গড়ে তোলা। আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করছে। তারা লেখাপড়া শেষে কিন্তু গ্রামের মাঠে গিয়ে আর কৃষিকাজ করবে না। তাদের জন্য চাকরি দরকার। সেই চাকরির জন্য শিল্প কারখানা করা দরকার। আর শিল্পকারখানার জন্য সব থেকে বড় অন্তরায় ছিল জ্বালানি। আমরা এলএনজি বিদেশ থেকে আমদানি করে গ্যাস সরবরাহের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে ৫০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট আসছে। বেসরকারি খাতের সামিট পাওয়ার ৫০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট আনছে। ফলে অনেকটা স্বস্তি এসেছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব