বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে উদ্ধৃত করে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, ২০০৫-০৬ সালে দেশে কর্মে নিযুক্ত জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৭৪ লাখ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ। অর্থাৎ এ সময়ে দেশে প্রায় দুই কোটি লোকের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের সোমবারের বৈঠকে মহিলা এমপি বেগম হাবিবা রহমান খান ও ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর (পিরোজপুর-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেশির ভাগ কৃষির সঙ্গে সম্পৃত্ত। যার পরিমাণ ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত লেবার ফোর্স সার্ভে, ২০১৬-১৭ এর হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে বেকারের হার মোট শ্রমশক্তির ৪ দশমিক ২ শতাংশ। এর মধ্যে শিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার জন। শিক্ষিত ও স্বল্পশিক্ষিতের (যাদের বয়স ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব) সংখ্যা ২৩ লাখ ৭৭ হাজার জন এবং অশিক্ষিত বেকার রয়েছে ৩ লাখ।
এসময় মন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি পরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহণের উদ্দেশ্যে সরকার কর্মসংস্থান নীতি প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছে।
মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে গৃহকর্মীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণের বিষয়ে এ মূহুর্তে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে পূর্ণকালীন গৃহকর্মীর মজুরি উভয়পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ করার পরামর্শ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম