বেগম খালেদা জিয়া চরম অসুস্থতায় ভুগছেন। তিনি ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। যথাযথ চিকিৎসা না দিলে তাঁর এই অবস্থা স্থায়ী রূপ নিতে পারে। অথচ সরকারের ‘অশুভ ইশারায়’ জাতিকে বিভ্রান্ত করে জামিন বাতিল করতেই বেগম খালেদা জিয়ার ‘স্বাস্থ্যের অবনতির’ বিষয়টি গোপন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। এসময় খালেদা জিয়া যদি সুস্থ হয়ে থাকেন, তাহলে ড্যাব মনোনীত চিকিৎসকদের তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দেয়ার এবং দেশনেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক দ্বারা তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আজ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ ও দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ড্যাবের মহাসচিব ডা. আবদুস সালাম। উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ’র সাবেক প্রোভিসি ডা. এমএ মান্নান, ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, ড্যাবের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. এমএ সেলিম, ড্যাব নেতা ডা. মাজহারুল ইসলাম দোলন, ডা. কাকন, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, খালেকুজ্জামান দীপু, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. শামসুল প্রমুখ।
ড্যাব মহাসচিব ডা. সালাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার অপপ্রয়াসে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অসত্য সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাঁর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা আপনাদের নিকট ও দেশবাসীর নিকট তুলে ধরছি। তিনি আরো বলেন, সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল বা বিএসএমএমইউ-এর পরিচালক বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার অসহযোগিতার কারণে চিকিৎসকরা তার সাথে দেখা করতে পারেন না’, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। উক্ত সাংবাদ সম্মেলনেই মেডিকেল বোর্ড প্রধান জানিয়েছেন, বেগম জিয়া সব সময় তাদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের উত্তর স্বাচ্ছন্দ্যে দেন। এটা দ্বিমুখী বক্তব্য।
ড্যাব মহাসচিব আরো বলেন, আমাদের জানা মতে, বেগম জিয়া সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের কখনো বাধা প্রদান করেননি। বরং সব সময়ই সহযোগিতা করেছেন। তাছাড়া বেগম খালেদা জিয়া একজন বন্দি। নারী নিরাপত্তারক্ষীসহ বহুবিধ নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে তিনি অবস্থান করছেন। যেখানে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ এমনকি তাঁর চিকিৎসকরাও যেতে পারেন না, সেখানে বেগম জিয়ার অনুমতির প্রশ্নটি অবান্তর।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার