রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সময়ক্ষেপণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাস্তুচ্যুত মানুষকে তাদের নিজ ভূমি রাখাইনে ফেরত পাঠাতে ঢাকা প্রস্তুত রয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকায় এক সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার অভিযোগ করেছে ঢাকার কালক্ষেপণের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্ব হচ্ছে। এটি কি অপপ্রচার নয়? আমরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর জন্য প্রস্তুত রয়েছি। যখনই মিয়ানমার চাইবে তখনই আমরা সোজা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠিয়ে দেব।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত ভিত্তিহীন, অসত্য এবং মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সপ্তাহে দেয়া একটি বিবৃতি দেন এবং মিয়ানমারকে সংঘবদ্ধ অভিযান বন্ধ করতে বলেন।
মোমেন বলেন, মিয়ানমার অভিযোগ করেছে যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমরা এটি সম্ভবপর করতে আমাদের সকল চেষ্টা রেখেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গা সঙ্কট তৈরি করেছে এবং কেবলমাত্র মিয়ানমারই এর সমাধান করতে পারে।
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারকে বিশ্বাস করছে না উল্লেখ করে মোমেন বলেন, যদিও নেপিডো দাবি করেছেন রাখাইন রাজ্যের অভ্যন্তরে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সুতরাং তাদের (মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের) রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আস্থা স্থাপনের জন্য (সহায়ক পরিবেশের বিষয়ে) অহরহই কথা বলতে হবে।
বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় প্রায় ১১ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারে এক সামরিক অভিযানের পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এসে পৌঁছায়। জাতিসংঘসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে ‘জাতিগত নির্মূলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ এবং ‘গণহত্যা’ বলে অবহিত করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম