২৯ জানুয়ারি, ২০২০ ২৩:৫৬

সরকারি গাছ কেটে টাকা আত্মসাৎ, দুদককে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

সরকারি গাছ কেটে টাকা আত্মসাৎ, দুদককে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফাইল ছবি

বৃক্ষ রোপনে ২০১৯ সালে জাতীয় পুরুস্কারপ্রাপ্ত বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় ৬ মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

মাহিলাড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন রাড়ির রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানী শেষে গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এই নির্দেশ দেন। 

ওইদিন শুনানী শেষে উচ্চাদালত সরকারি সড়কের গাছ কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুদক চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানী করেন ডেপুটি আ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী আ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী নাছিমা। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. তৌফিকুল ইসলাম। 

বাদী রিট আবেদনে উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের জুন মাসে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের এফসিডি প্রকল্পের মাহিলাড়া-ছয়গ্রাম ও বিল্বগ্রাম- জঙ্গলপট্টি এলাকার ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ৩৮০ টি গাছ ছিল। মাহিলাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু কাউকে না জানিয়ে তার লোকজন দিয়ে ওই গাছগুলো কেটে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ২০১৬ সাল থেকে চেয়ারম্যান পিকলু কয়েক দফা একই প্রকল্পের কয়েকশত গাছ কেটে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করে নিজেই আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনায় ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বাদী আনোয়ার হোসেন রাড়ি উপজেলা এলজিইডি অফিস বা স্থানীয় বনবিভাগ, থানা ও বরিশালের দুদক অফিসে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। 

তবে অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীহী দাবী করে মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু বলেন, ১৯৯৯ সালে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে চুক্তিতে সামাজিক বনায়ন করা হয়েছিল। ওই চুক্তি বলে অর্ধেক গাছের মালিক তিনি ও জমির মালিকরা। গাছগুলো সড়কের পাশে থাকা জমির মালিকরা কেটে নিয়ে গেছে।

 

বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর