মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ভর্তিসহ বিনা বেতনে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যদের পড়ালেখার সুযোগ প্রদানের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত আছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে আজকের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বে দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরো জানান, সকল শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ব্যাপারে নূন্যতম যোগ্যতা থাকার শর্তে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা আছে। যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বিনা বেতনে লেখাপড়া সুযোগ প্রদান। এছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ সুবিধা প্রদানের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি স্মারকমূলে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধারা ১২ হাজার টাকা মাসিক ভাতাসহ উৎসব ভাতা পাচ্ছেন: মহিলা এমপি সৈয়দা রুবিনা আক্তারের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বর্তমানে এক লাখ ৮৯ হাজার ৩১১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানিত ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছর হতে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ১২ হাজার সম্মানিত ভাতাসহ দু’টি উৎসব ভাতা ১০ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর হতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের রাষ্ট্রীয় সম্মানি ভাতার পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ ভাতা জনপ্রতি দুই হাজার টাকা এবং ভাতাপ্রাপ্ত জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় দিবস ভাতা জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ১২ হাজার ১৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সম্মানিত ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল শিঘ্রই: বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সনদ পায়নি এমন মৃত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রুতই ডিজিটাল (স্থায়ী সনদ) দেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন