বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বইয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করার বিষয়ে দায়ের করা রিটের শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি নির্দেশনা দিয়েছে হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস বইটিকে যেভাবে বাজারজাত করা হয়েছিল, সেগুলো সংগ্রহ করে এই মামলার রিটকারী ভোরের পাতা ও দ্য পিপলস টাইমস সম্পাদক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য ও ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য এবং এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসানকে সঙ্গে নিয়ে বইগুলো নষ্ট করে আদালতে জানাতে হবে।
আগামী ১ মার্চের মধ্যে যেসব বইয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি নেই, সেগুলো নষ্ট করে আদালতকে লিখিত আকারে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বুধবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন খোকন, মো. মতিয়ার রহমান এবং শাহাজাহান লিংকন।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং আজমালুল হোসেন কিউসি।
তথ্য গোপন করে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ গ্রন্থে ইতিহাস বিকৃতি বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমনানা করার অভিযোগ এনে গত বছরের ২ অক্টোবর হাই কোর্টে রিট দায়ের করেছিলেন ভোরের পাতা ও দ্য পিপলস টাইমস সম্পাদক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য ও ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা, যারা এখনো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক এ লড়াই আমৃত্যু চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ড. কাজী এরতেজা হাসান। তিনি বুধবার বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করা বইটিকে সমূলে নষ্ঠ করার যে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত, তাতে করে আমাদের নৈতিক বিজয় হয়ছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানাতে আমি আদালতের রায় মেনে এসব বই নষ্ট করার কাজে থাকবো। কেননা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে এটা একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে, যে ইতিহাস বিকৃতকারীরা কোনো ছাড় পায়নি।
এদিকে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শুধু হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত রিট আবেদন করার কারণে নানা মহলের হুমকিও পেয়েছেন ড. কাজী এরতেজা হাসান। তবুও একটি বারের জন্য সমঝোতা বা আপোস করার মানসিকতাও দেখাননি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে। তিনি বারবারই উচ্চারণ করেছেন, যত বাধাই আসুক না কেন, আমি আমার এ লড়াই চালিয়ে যাবোই, ইনশাআল্লাহ। কারণ বন্ধুবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে এখনো বাংলাদেশে পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা সক্রিয়। এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই লড়াই চালিয়ে যাবো।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন