স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সুযোগ ও সক্ষমতার সমন্বয়ে নারীদের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব। নারীদের এগিয়ে নিতে হলে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ জরুরি। বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারীদের সরাসরি সম্পৃক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতে নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বৃদ্ধি পেলেও এই সময়ে ক্ষদ্র ও মাঝারি ব্যবসা, অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রসারের মাধ্যমে অর্থনীতিতে তাদের অবদান ছিল লক্ষণীয়। নারীরা নিজেদের যোগ্যতা, মেধা ও দক্ষতা দিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে ও বিভিন্ন পেশায় সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন। গণমাধ্যমেও নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ দৃশ্যমান।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘পাঁচ দশকে বিভিন্ন পেশায় নারীর অগ্রগতি, সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক মাহমুদা চৌধুরী, সাংবাদিক শাহনাজ বেগ নাদিরা কিরণ, শারমিন রিনভী ও আঙুর নাহার মন্টিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে ডিআরইউ নারী সদস্যদের পত্রিকা ‘কন্ঠস্বর’-এর বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন স্পিকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি মোরসালিন নোমানী। বক্তব্য রাখেন নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর, দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু ও ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরো বলেন, করোনার সংকটময় সময়ে প্রধানমন্ত্রী নারীদের জন্য যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন, তা নারী উদ্যোক্তাদের কাছে সহজে পৌঁছে দিতে সকলকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান স্পিকার।
তিনি বলেন, নারী সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে এবং এক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস, মায়ের মাধ্যমে সন্তানের নিকট নাগরিকত্ব প্রদানসহ নারী উন্নয়নে শেখ হাসিনা বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
স্পিকার আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীদের অগ্রগায়নের জন্য আইনি কাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত সন্নিবেশ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী সংসদ সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা পঞ্চাশে উন্নীত করেছেন। বর্তমান সংসদে ২৩ জন নারী সংসদ সদস্য সরাসরি নির্বাচিত।
বিডি প্রতিদিন/এমআই