প্রতারণা করে গ্রাহকদের ১১শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের সাবেক চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) নাজমুল আলম রাসেলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রবিবার শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর ছিদ্দিকের আদালত।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করে তাকে গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। প্রথমে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর রিমান্ড শুনানি হয়।
রাসেলের পক্ষে শান্তনু ধর রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আলমগীর হোসেন এর বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রাসেলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে এ মামলায় গত ২৩ আগস্ট ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহর ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে ১৭ আগস্ট সকালে মামলাটি করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। তখন প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত থেকে তার সঙ্গে সাক্ষ্য দেন।
এই মামলা দায়েরের পরই গত ১৭ আগস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানে আদালতে এসে আইনজীবীরা মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে, তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ