পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মহান স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন ভারতকেও গর্বিত করবে। ভারতের জনগণও অনুধাবন করবেন যে ১৯৭১ সালে তাদের সহযোগিতা বৃথা যায়নি।’
শনিবার কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন মন্ত্রী। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ, স্বাধীনতা লাভের ৫০ বছরেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশে-বিদেশে এখনও শেখ হাসিনা সরকারকে বাধাগ্রস্ত করার নানা অপচেষ্টা চলছে। যদিও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই বাধা-বিপত্তি দূরে সরিয়ে রেখে দেশ আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বলেই তার বিশ্বাস।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষির্কী, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে এদিন উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শাহরিয়ার আলম।
বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন এবং কলকাতা ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’এর যৌথ সহযোগিতায় মেজর (অব.) এ.এস.এম. শামসুল আরেফিন কর্তৃক সম্পাদিত ‘বাংলাদেশ @৫০’ এবং সত্যম রায় চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু ফর ইউ’ শীর্ষক দু’টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচনও করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কারিগরী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হুমায়ূন কবীর, ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী, বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন’এর সিনিয়র ফেলো ড. শ্রীরাধা দত্ত, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ, কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিষ সূর প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
এর আগে, গণমাধ্যমের কর্মীদের সামনে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গন থেকে ‘ভিসা আবেদন কেন্দ্র’টি আলাদা করে সল্টলেকের সেক্টর-ফাইভ’এ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই মিশনের প্রধান কাজ হল কূটনীতি করা, বাণিজ্য ও সংস্কৃতিকে সামনে তুলে ধরা। সেক্ষেত্রে এই মিশনের ওপর অত্যাধিক চাপ পড়তো। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই মিশন থেকে ভিসা সেন্টারটিকে আলাদা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে কলকাতা মিশনের বাইরে ভিসা করতে আসা মানুষদের দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে হবে না, এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ৭৫টি শহরে বাংলাদেশের মিশন আছে, ধীরে ধীরে সেগুলো থেকেও বিশেষ করে যেখানে পর্যটকদের চাপ আছে- সেখানে মূল ভবন থেকে ভিসা আবেদন কেন্দ্রটিকে আলাদা করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এবং কলকাতা সেই পরিকল্পনারই অংশ।
তার অভিমত, ভারত সরকারও কয়েক বছর আগে তাদের ভিসা সেন্টারকে মিশন থেকে আলাদা করে নিয়েছে। উল্লেখ্য, সেক্টর-ফাইভে প্রায় ১৩ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ভিসা আবেদন কেন্দ্রটি। সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই কেন্দ্রটি। সব রকম ভিসার জন্যই ভিসার জন্য প্রসেসিং ফিস বাবদ ৮২৬ রুপি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক