বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, চলমান করোনা সংক্রমন পরিস্থিতিতে একই সাথে সরকারের বিধিনিষেধ ও নির্বাচন অনুষ্ঠান সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত। এমনটি বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করার জন্য হয়েছে কিনা প্রশ্ন রাখেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, এই সরকার করোনা নিয়ে অনেক ছলনা করেছে। যখন করোনা বাড়ে তখন কম দেখায়, যখন কমে তখন বাড়িয়ে দেখায়-এটা মারাত্মক নয়? মানুষও বিশ্বাস করে সরকার করোনা নিয়ে রাজনীতি করছে। শুধু তাই নয়; এই করোনা নিয়েও সরকার দুর্নীতি করেছে। রোগীদের সাথে ছলনা করেছ। করোনার সার্টিফিকেট নিয়ে ছলনা করেছ। নেগেটিভ হলে পজিটিভ আর পজেটিভ হলে নেগেটিভ বলেছে। অনেকে বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়েছে। অনেকে এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে এসেছে।
আজ বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে করোনা আক্রান্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ও তার সহ-ধর্মিনীর রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নারায়ণগঞ্জে সিটি নির্বাচন চলছে। ইউপি নির্বাচনেও মারামারি কাটাকাটি যা হওয়ার হচ্ছে। সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করার পরেও এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন তাদের নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করেনি। তাহলে সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর নির্বাচন করা কি প্রযোজ্য? নির্বাচন কমিশনের কাছে সরকারও কোনো অনুরোধ করে নাই। এ প্রশ্নের উত্তর পেতে কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অনেকেই রাজপথে নেমেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সব কিছুই চলছে, দোকানপাট ব্যবসা-বাণিজ্য সব চলবে। শুধুমাত্র চলবে না রাজনৈতিক সমাবেশ। সুতরাং এটা প্রজ্ঞাপন জারি না।
দোয়া মাহফিলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত