আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশের আগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে এখনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপির ভালো না লাগার বেরামে পেয়েছে। দেশকে পিছিয়ে নিতে চায় তারা। কাজেই আপনাদের সব সময় চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, একটি কুচক্রীমহল দেশকে যেভাবে অস্থিতিশীল করে তোলার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সেদিকে তীক্ষ্ম নজর রাখতে হবে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বুকে ধারণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ ভাষণটি কি অপূর্ব, কি অকল্পনীয়, তা আমরা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাই। ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু নিপুণ কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুকে যেন কেউ বিছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে অভিহিত করতে না পারে সে দিকে তার সজাগ দৃষ্টি ছিল।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা সব সময়ই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী খাদ্য মজুদ করে অস্থিতিশীল করতে চায়। বিএনপি-জামায়াতের এক শ্রেণি ব্যবসায়ীদের উস্কে দিতে চায়।
তিনি বলেন, বিএনপির স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য এক শ্রেণির ব্যবসায়ী খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে মূল্য বৃদ্ধি করে মুনাফা লুটার চেষ্টা করছে। দেশপ্রেমী ব্যবসায়ী ভাইদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, আপনারা দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকবেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত