বিশ্বজুড়ে মহামারী স্বত্ত্বেও সুখী দেশের তালিকায় ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে বাংলাদেশের। সবশেষ শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে জাতিসংঘের সহযোগিতায় প্রস্তুত ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট-২০২২’। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহামারীর এই বছরেও বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় সাত ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। নতুন এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯৪তম। গত বছর বাংলাদেশ এই তালিকার ১০১তম অবস্থানে ছিল। তার আগের বছর ছিল ১০৭তম আর ২০১৯ সালে ১২৫তম। অর্থাৎ, মাত্র তিন বছরে ৩১ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।
এবারের প্রতিবেদনে ১৪৬ দেশের নাম রয়েছে। তালিকায় টানা পঞ্চমবারের মতো সবচেয়ে সুখী দেশ নির্বাচিত হয়েছে ফিনল্যান্ড। আর সবচেয়ে তলানিতে রয়েছে সম্প্রতি তালেবানের দখলে চলে যাওয়া এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান।
বার্ষিক প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে বিভিন্ন দেশের মানুষের মানসিক সুখের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ও সামাজিক তথ্যাদির ভিত্তিতে। এতে শূন্য থেকে ১০ পর্যন্ত পয়েন্ট দিয়ে সুখের পরিমাণ বোঝানো হয়েছে।
তালিকায় ৫ দশমিক ১৫৫ পয়েন্ট নিয়ে ৯৪তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের চেয়ে তিন ধাপ এগিয়ে ভারত রয়েছে ১৩৬তম অবস্থানে। তবে এক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান, তালিকায় দেশটির অবস্থান ১২১তম। এছাড়া শ্রীলঙ্কা ১২৭তম ও নেপাল রয়েছে ৮৪তম স্থানে।
তালিকার সবচেয়ে কম সুখী দেশ আফগানিস্তানের পয়েন্ট ২ দশমিক ৪০৪। আফগানদের ওপরে ঠাঁই হয়েছে লেবানন, জিম্বাবুয়ে, রুয়ান্ডা, বতসোয়ানার মতো প্রভৃতি দেশের।
২০১৮ সাল থেকেই সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষস্থানটি দখলে রেখেছে নরডিক দেশ ফিনল্যান্ড। এ বছর তাদের পয়েন্ট ৭ দশমিক ৮২১।
শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলো হল- যথাক্রমে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ, সুইডেন, নরওয়ে, ইসরায়েল ও নিউজিল্যান্ড।
এ বছর তালিকা প্রণয়নের জরিপ শেষ হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে। তাই সুখী দেশের তালিকায় এর কোনও প্রভাব পড়েনি। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২২-এ ইউক্রেন রয়েছে ৯৮তম এবং রাশিয়া ৮০তম স্থানে।
গতবারের চেয়ে তিন ধাপ এগিয়ে এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৬তম। দেশটির আগে রয়েছে কানাডা ও পরে যুক্তরাজ্য। সূত্র: ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ওয়েবসাইট
বিডি প্রতিদিন/কালাম