বাংলাদেশ হাই কমিশন নয়াদিল্লিতে আজ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে পাক হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
একাত্তরের শোকাবহ স্মৃতিকাতর এই দিবসটি পালন উপলক্ষে দূতাবাসের ‘বঙ্গবন্ধু হল’ মিলনায়তনে সকালে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
দূতাবাসের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন মিনিস্টার (কনস্যুলার) সেলিম মো. জাহাঙ্গীর।
বাংলাদেশ হাই কমিশন নয়াদিল্লির মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর শাহেদ বিন আজিজ।
হাই কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মতো বর্বর গণহত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কোথাও ঘটেনি। পশ্চিমা বর্বর হানাদার বাহিনী গণহত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার স্বপ্ন হত্যা করতে চাইলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বিশ্বনন্দিত নেতার কারণে তারা সফল হতে পারেনি। বাঙালি জাতির পরম সৌভাগ্য যে, তারা বঙ্গবন্ধুর মতো অবিসংবাদিত নেতা পেয়েছিল।
হাই কমিশনার বলেন, ২০১৭ সালে মহান জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সর্বতসম্মতভাবে গৃহীত হয়। আমরা চেষ্টা করছি এটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য। আমরা বিশ্বাস করি এই বর্বর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে।
অনুষ্ঠান চলাকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত বাংলাদেশের গণহত্যার উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত সকল শহীদ ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন