নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা একটা ভয়াবহ খারাপ সময় পার করছি। এই রোজার মধ্যে দুটো মানুষ মারা গেছে। আমার ৫৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ছাত্র আর দোকানদারদের মধ্যে এরকম সংঘর্ষ কখনও দেখিনি।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে বিজিআইসি টাওয়ারে এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন নামে একটি সংগঠন এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।
এ সময় মান্না বলেন, এর আগে শুনেছি ছাত্রদের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়। তবে সেটা খুবই সংক্ষিপ্তভাবেই শেষ হয়। এটা খেয়াল করে দেখেন রোজার মধ্যে রাত সাড়ে এগারোটায় সংঘর্ষ হলো। দুদিন লাগাতার চললো। দুটো মানুষের জীবন গেল। কেন এমন হলো? সরকার কি করে?
যেকোনো মার্কেট, শিল্প কারাখানায় ক্ষমতাসীনরা চাঁদাবাজী করে জানিয়ে তিনি বলেন, নিউমার্কেট এলাকার আশপাশেও বাদ নেই। খেয়াল করেন যারা এই সংঘর্ষের মধে জড়িত সেই ছাত্ররা ঢাকা কলেজের। সেই ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগ ছাড়া আর কোনো দল আছে? সেই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যে ব্যবসারীরা দাঁড়ালো তারা কোন সাহসে দাঁড়ালো? ওই দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে যারা গেলেন তারাও আওয়ামী লীগ করে।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে কে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিকেলে টেলিভিশনে বললেন, এটা একটা তুচ্ছ ঘটনা। এটা বড় করে দেখতে চাই না। কিছুক্ষণের মধ্যে বিষয়টা ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। তারপর সন্ধ্যায় মারামারি আরও বেশি হলো। রাতে আরও হামলা হলো তারপর মারা গেল। তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপরে কি কেউ প্রভাবশালী আছে? যার ওপরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলতে পারেনি। আসলে আওয়ামী লীগ আমলে আওয়ামী লীগের চামচা অনেক বেশি শক্তিশালী। হাইব্রিডরা শক্তিশালী। যারা সত্যি আওয়ামী লীগ করে, দল করেছে, যারা ছয় দফা আন্দোলন করেছে, সেই মানুষগুলো কোথাও নেই।
নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট নাসির হায়দার, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক হাজী মনিরুজ্জামান মনির মোল্লা, কৃষক দল নেতা আব্দুল্লাহ আল নাঈম, অ্যাডভোকেট নাসির বেপারী, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের মাকসুদুর রহমান, মুসা ফরাজী, শফিকুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন