আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে জানিয়েছেন, বিচারের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে মামলার সাক্ষী। সাক্ষীদের দেওয়া সাক্ষ্য পর্যালোচনার মাধ্যমে বিচারক রায় দেন। আদালতে সাক্ষীরা যাতে ভোগান্তিহীনভাবে সাক্ষ্য দিতে পারেন সেজন্য জেলাগুলোতে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, সাক্ষীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আইন প্রণয়নের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজকের বাজেট অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব তথ্য জানান।
সরকার দলীয় এমপি এম. আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী আরো জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে দ্রুততম সময়ে সাক্ষীদের অবহিত করতে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমে সাক্ষীদের প্রতি সমন জারির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখন থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে ফৌজদারী মামলার সাক্ষীরা আদালতে বিচারাধীন মামলার ধার্য্য তারিখ সম্পর্কে জানতে পারবেন। ফলে সহজে ও স্বল্প খরচে আদালতে সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত হবে, যার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হবে।
ভার্চুয়াল আদালতে ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৪৬ জন ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর হয়েছে
আইন মন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের লিখিত জবাবে জানান, করোনা মহামারিকালে দেশের মানুষ যেন নূন্যতম বিচারিক সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্যে দেশের সকল আদালতে বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে বিচারপ্রার্থী ও তাদের আইনজীবীগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতি নিশ্চিত করে মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়। ফলে বিচারাধীন জরুরী বিষয়গুলো ভার্চুয়াল আদালতে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। ২০২০ সালের ১১ মে হতে ৪ আগস্ট এবং ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ওই বছরের ১০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৮২ টি জামিনের দরখাস্ত নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৪৬ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। ফলে জেলখানায় চাপ কিছু কমেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা দিতে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন