সিলেটজুড়ে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সিলেটের পাঁচ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বন্যার কারণে সেখানের খেটে খাওয়া অসহায় মানুষ পড়েছেন বিপাকে। দু’বেলা দু’মুঠো খাবার যোগাড় করা তাদের জন্য হয়ে পড়েছে মারাত্মক কষ্টসাধ্য।
এই অবস্থায় সিলেটে বন্যা আক্রান্ত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। বানভাসি মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছে খাবার। ত্রাণ পেয়ে অসহায় পরিবারগুলোর মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। গত ৩০ মে থেকে শুরু হওয়া এই ত্রাণ তৎপরতা আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
আজ সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে ত্রাণ বিতরণ করে জেলা পুলিশ। গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এদিন থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম নৌকা নিয়ে ত্রাণ বিতরণে বের হন।
তিনি উপজেলার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের পানিবন্দি ১০০টি পরিবারের কাছে ত্রাণ হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের এই উপহার পৌঁছে দেন। আগের দিন তিনি উপজেলার ডৌবাড়ি ইউনিয়নের খৈয়াখাল হাওড়, চাতল হাওড় ও বেলেঙ্গুড়া হাওড় এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন।
এছাড়া বন্যাকবলিত খৈয়াখাল হাওড় এলাকায় নৌকা নিয়ে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দেন ওসি কে এম নজরুল ইসলাম। বসুন্ধরার ত্রাণ পেয়ে দিনমজুর ইরফান মিয়ার যেন খুশির সীমা নেই। মুখে এক ফালি হাসি নিয়ে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। জানালেন, তিনদিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। ঘরে একমুঠো খাবার নেই। এই ত্রাণ দিয়ে তিনি ঘরে থাকা বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেবেন।
সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দু’দফায় ১২ হাজার প্যাকেট ত্রাণ পাঠায় বসুন্ধরা গ্রুপ। জেলা পুলিশের মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২টি উপজেলার অসহায় পরিবারের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। গত ৩০ মে বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিলেটের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। তার নির্দেশে ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক