বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আওয়ামী সরকারকে জনরোষে বিদায় নিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই কোভিড চলাকালে ১৩ হাজার মানুষ নতুন করে কোটিপতি হয়েছে। আর প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ নতুন করে আরও দরিদ্র হয়েছে। তাহলে এ সরকার ১৩ হাজারের সরকার। কোটি কোটি মানুষের সরকার নয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির গুলশান বনানী থানার ১৮,১৯,২০ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, আতিকুল ইসলাম মতিন, আবদুল আলি নকি, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আক্তার হোসেন, গোলাম কিবরিয়া মাখন, আলাউদ্দিন সরকার টিপু, কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, সাবেক কমিশনার আবুল কালাম আজাদ, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির আব্দুস ছালাম, বিমানবন্দর থানা বিএনপির দেলোয়ার হোসেন, আসলাম হোসেন, তুরাগ থানা বিএনপির হাজী জহিরুল ইসলাম জহির, উত্তরখান থানা বিএনপির সেলিম মোল্লা, খিলক্ষেত থানা বিএনপির সি এম আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
তিনি বলেন, এ আওয়ামী সরকার দেশের গণতন্ত্রের প্রতিটি স্তম্ভ আজ ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে দেশের মানুষ গণতন্ত্রের অভাব অনুভব করছে। আওয়ামী লীগের নেতারা গণতন্ত্র চায় না। এ গণতন্ত্রের জন্য আমরা যুদ্ধ করছি। দেশের এ গণতন্ত্রের জন্য আজ আমাদের কত ভাই-বোন জীবন দিয়েছেন। গুম হয়েছেন কত ভাই-বোন। এ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের আজ একটাই পথ খোলা আছে। আর তা হলো এই অত্যাচারী আওয়ামী শাসনের অবসান ঘটানো। জনবিস্ফোরণের মুখে গণধিকৃত এ আওয়ামী সরকার কে জনরোষেই বিদায় নিতে হবে। সে দিন আর বেশি দূরে নয়।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, ৯০ এর স্বৈরাচার হটিয়ে ছিলাম। আবার ও গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
আমিনুল হক বলেন, আমাদের সামনে একটি পথ খোলা রয়েছে। আর সেটা হলো রাজপথ। সেই রাজপথে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত