আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, আমাদের দেশের কিছু হতাশ রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের আয়েশী ব্যক্তি আছেন যারা কোন কিছুতেই দেশের মঙ্গল কিছু দেখতে পান না। তারা সব সময়ই শুধু নেতিবাচক প্রচারণায় মগ্ন রয়েছেন, অনেকেই দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত আছেন। তাদের হায় হায় পার্টি বলা হয়। হায় হায় পার্টির নাই নাই আহাজারিতে ভয়ের কিছু নেই।
মঙ্গলবার পেকুয়া কলেজ মাঠে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।
উদ্বোধন করেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলামের চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান মুজিব, আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, সাইমুম সারোয়ার কমল এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা মো. রেজাউল করিম, এডভোকেট রঞ্জিত দাস, মাহবুবুর রহমান, লায়ন কমর উদ্দিন আহমেদ, এডভোকেট জিয়া উদ্দিন জিয়া, এডভোকেট উম্মে কুলসুম মিনু, আমিনুর রশীদ প্রমুখ। সম্মেলন পরিচালনা করেন আলহাজ্ব আবুল কাশেম।
হুইপ স্বপন বলেন, কিছু দিন পূর্বে তারা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে অর্থনীতিতে অরাজকতা এবং সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে সফল হতে পারেননি। এখন বিশ্ব বাজারে জ্বালানি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধগতির প্রভাবে বর্ধিত আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর কিছুটা চাপ পড়ার পর তারা আবার হায় হায়, নাই নাই রোগাক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০০৬ সালে জামাত-বিএনপির শেষামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৬ বিলিয়নের নিচে, ২০০৯ সালে বাঙালির আপন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব গ্রহণকালে রিজার্ভ ছিল মাত্র ৭.৪ বিলিয়ন। এরপর তার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ২০১০ সালে রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন অতিক্রম করে, এরপর ২০১৪-তে ২০, ২০১৬-তে ৩০, ২০১৯ -এ ৩৩ এবং ২০২২- এ ৪৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ সৃষ্টি হয়। বর্ধিত আমদানি ব্যয়ের চাপ সামলাতে আপাতত রিজার্ভ ৪০-এর সামান্য নিচে দাঁড়িয়েছে। এখনো জামাত-বিএনপির মতো ৬ অথবা সুশীল তত্ত্বাবধায়ক আমলের মত ৭ বিলিয়ন থেকে যোজন যোজন উপরে অবস্থান করছে। এই সময়ে আমাদের ১০ বিলিয়ন ডলার বিদেশের বিভিন্ন বাংলাদেশি শাখা ব্যাংকে গচ্ছিত এবং বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানির নিকট পাওনা রয়েছে। সুতরাং হায় হায় পার্টির নাই নাই বিলাপ এবারও উন্নয়ন ও মানব কল্যাণের সুবাতাসে হারিয়ে যবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনার ভিত্তিতে সর্বসম্মতিভাবে মো. শহীদুল্লাহ বিএ সভাপতি, সাইফুদ্দিন খালেদ, একেএম মহিউদ্দিন বাবর, ফরহাদ ইকবাল, নজরুল ইসলাম বাবুল সহ-সভাপতি, আলহাজ্ব আবুল কাশেম সাধারণ সম্পাদক, মো. মফিজুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক এবং আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মো. ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেসী, এডভোকেট উম্মে কুলসুম মিনু সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন