সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা রাখা অর্থের তথ্য আদান প্রদানের বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে সেটার অবসানের চেষ্টা করবো। কারণ তার কাছে (সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত) বা আমাদের কাছে হয়তো সম্পূর্ণ তথ্য নেই।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে আমরা অবশ্যই চুক্তি চাই। কেউ যদি অন্যায়ভাবে দেশ থেকে অর্থ সরিয়ে থাকে, তাহলে রাষ্ট্রের একটি দায়িত্ব আছে সেগুলো ফিরিয়ে আনার। গত সপ্তাহে বার্নে আলোচনার সময় তারা মেকানিজম তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে।
সচিব বলেন, দুই দেশের সরকারের মধ্যে একটি মেকানিজম তৈরি করা দরকার, যাতে সুইস ব্যাংকে রক্ষিত অর্থ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এটি আপাতত তথ্য আদান-প্রদান সংক্রান্ত। গত সপ্তাহে এ প্রস্তাব এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করবো বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে টাকা যেন না যায়। যা যা করণীয় তা করবো। শুধু সুইজারল্যান্ড নয়, আমরা পানামা পেপারস সম্পর্কে জানি। কেম্যান আইল্যান্ড আছে, ক্যারিবীয় কিছু দ্বীপ আছে যারা ‘সেফ হ্যাভেন’ নামে পরিচিত। ওইসব দেশেও অনেকে অর্থ পাচার করে থাকতে পারে।
সুইস রাষ্ট্রদূতকে আদালতে তলবের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, সব রাষ্ট্রদূতের কূটনৈতিক ইমিউনিটি আছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সঙ্গে ওই দেশের ইউনিটের যোগাযোগ আছে। এটা সম্পর্কে হয়তো সুইস রাষ্ট্রদূত অবহিত নন। সেক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝিটা বাড়ছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন