আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের দাখিল করা মনোনয়নপত্র রবিবার বাছাই করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ১৬২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১ হাজার ৯৮৩ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৭১৫ জন প্রার্থী। এছাড়া চেয়ারম্যান পদে ১৯ জেলায় ১৯ জন একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে বা বাছাইয়ে বাতিল না হলে বিনা প্রতিদ্বিন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ অক্টোবর।
নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ক্ষেত্রে আইনে নির্ধারিত যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয় ছাড়াও ইসির একটি ব্যাখ্যাও আমলে নেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে লাভজনক পদ হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদলতে নিয়োগপ্রাপ্ত পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) ও এপিপি জেলা পরিষদের কোনো পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় বসার পর ২০১১ সালে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদ পরিচালনা করে। এরপর প্রথমবারের মতো স্থানীয় এই সরকারে নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর। সে সময় ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) নির্বাচন হয়েছিল। এরমধ্যে ১৯টি জেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত