মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, যেখানে মাছ থাকবে, সেখানে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা অপ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরের ট্যুরিজমের কারণে মাছের ক্ষতি হচ্ছে। তাই যেখানে মাছ থাকবে, সেখানে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হাওরের অর্ধেক সময় পানি আর অর্ধেক সময় কৃষির চাষাবাদ হয়। ফলে কৃষি ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ব্যবহারের প্রভাব থেকে যায়। মেঘনা, পদ্মা নদীর, পানি দূষণ, ডুবোচরের কারণে ইলিশ মাছের উৎপাদন কমেছে। জিআই তালিকায় হালদার রুই, কাতলা যাতে অন্তর্ভুক্ত হয়, সেজন্য আরও গবেষণা করতে হবে। পরিবেশের তালিকায় যেমন বিপন্ন তালিকা রয়েছে, তেমনি মাছেরও বিপন্ন তালিকা থাকা দরকার। এজন্য প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
কোনো মুক্ত জলাশয় যাতে তাকে ইজারা দেওয়া যাবে না। শুধু যারা মৎস্য ব্যবস্থাপনায় জড়িত তাদের ইজারা দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
ফরিদা আখতার আরও বলেন, বাংলাদেশের মাছ বৈচিত্র্যপূর্ণ, এক সময় মুক্ত জলাশয়ে মাছ ছিল ৬০ শতাংশ আর বদ্ধ জলাশয়ে ৪০ শতাংশ। সেই চিত্র এখন উল্টো হয়েছে। তাছাড়া পরিবেশ ও স্বাদের দিক থেকেও একেক এলাকার মাছ, একেক রকম। এসব মাছের গবেষণায় বিজ্ঞানীদের ভূমিকা রাখতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই