সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও কাশিয়ানী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গোপালগঞ্জ-২ (সদর) আসন গঠিত। আসন্ন নির্বাচনে এ আসন থেকে মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন বিএনপির আট নেতা। তারা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান নান্টু, সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জু, সাবেক সভাপতি এম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ রফিকউজ্জামান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কবি জসীমউদ্দীন হলের সাবেক সভাপতি তৌহিদুর রহমান তাজ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. কে এম বাবর, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সরদার মো. নুরুজ্জামান। আসনটির জন্য জামায়াত একক প্রার্থী দিয়েছে। তিনি হলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ইউনিট সদস্য ও সাবেক গোপালগঞ্জ জেলা আমির অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন সরদার। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা তসলিম হুসাইন সিকদার এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মুনায়েম প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য দল আসনটির দখল নিতে মরিয়া তৎপরতা চালাচ্ছে। নির্বাচনি মাঠ এখন কার্যত বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দল নিয়ন্ত্রণ করছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান, দলীয় কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিজেদের ও দলের পক্ষে প্রচার করছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কুশল বিনিময় করে ভোট প্রার্থনা করছেন।
গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ রফিকউজ্জামান বলেন, গোপালগঞ্জ সদর-২ আসনটি গুরুত্বপূর্ণ। এটি জেলা হেডকোয়ার্টার। অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দাবিদার এ হেডকোয়ার্টার। সে বিবেচনায় দলের এমন প্রার্থীকে বেছে নিতে হবে যাকে দিয়ে একটা সম্মানজনক ফলাফল অর্জন করা যায়। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দেবেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করব।
জামায়াতে ইসলামীর এম এম রেজাউল করিম বলেন, বিগত ২০১৪, ’১৮ ও ’২৪ সালের নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। আশা করছি আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের প্রার্থীরা জনগণের কাছে যাচ্ছেন এবং ভালো সাড়া পাচ্ছি। হিন্দুরাও এবার আমাদের ভোট দেবে। সৎ ভালো মানুষদের জনগণ বেছে নেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা তসলিম হোসাইন সিকদার বলেন, আমরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। যদি সরকার আমাদের দাবি না মানে, তাহলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।