শেষ ওভারের রোমাঞ্চকর মুহূর্তও নিজেদের করতে পারলো না পাকিস্তান। ৬ বলে ১০ রানের সমীকরণে হারিস রউফ কোনো মুন্সীয়ানা দেখাতে পারেননি। উল্টো ভারতের ব্যাটারদের কাছে পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছেন। ২ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতেছে ভারত।
ম্যাচের ফল বলছে, জিততে ভারতকে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে। শেষ ওভারে থ্রিলও কিছুটা জমেছে। তবে আদতে শুরুর ধাক্কা সামলে নেবার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতেই ছিলো। সেই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন হয়েছে শেষ ওভারেও।
এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচেও পাকিস্তান হারের বৃত্ত থেকে বেরোতো পারলো না। উল্টো হারিস রউফদের মতো অভিজ্ঞদের বাজে বোলিংয়ের কারণে বড় ব্যবধানে বিপর্যয় মেনে নিলো। পাকিস্তানকে লজ্জা দিয়ে ৫ উইকেটে জিতে এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলল ভারত।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমেই খেই হারায় পাকিস্তান। ২০ ওভার খেলতেও পারেনি দলটি। ১৯.১ ওভারেই গুটিয়ে গেছে ১৪৬ রানে। ১৪৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ভারত শুরুতে কিছুটা খেই হারালেও তিলক ভার্মার (৬৯*) কার্যকরী ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় সূর্যকুমার যাদবের দল।
সঞ্জু স্যামসন আর শিবম দুবের ছোটো ছোটো ইনিংসে ভর করে লো স্কোরিং ম্যাচে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ভারত। তিলকের অর্ধশতক পেরোনো স্কোরই মূলত ভারতকে খেলায় ফিরিয়েছে। পাকিস্তানের বোলাররা তার প্রতিরোধের সামনে হয়ে পড়েন বিষহীন।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান শুরুতে ভালোই সংগ্রহ করে। ওপেনিং জুটিতে ৯.৪ ওভারে ৮৪ রান তোলার পরই ভারতীয় বোলারদের চাপে পড়ে পাকিস্তান।
ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ৩৮ বলে ৫৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। ফখর জামানও ৩৫ বলে ৪৬ রান করে দলের রানসংগ্রহে ভালো অবদান রাখেন।
তিন নম্বরে নামা সাঈম আইয়ুব ১৪ রান করে ফিরে গেলে মোহাম্মদ হারিস শূন্য রানেই আউট হন। হুসেইন তালাত মাত্র ১ রান করে ফিরে যাওয়ার মধ্যেই পাকিস্তান ১৩১ রানে ৫ উইকেট হারায়। এরপর মাত্র ১০ রান যোগ করার মধ্যে পাকিস্তান আরও ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ভারত। অভিষেক শর্মা ফেরেন সাজঘরে। ১০ রানের মাথায় ভারত হারায় আরেক উইকেট। দলীয় ১০ রানে ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার ২.৩ ওভারেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ২০ রানে ভারতের তৃতীয় উইকেটের পতন। শুভমান গিল ফিরলেন দলীয় ২০ রানে। এরপর ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। ১৯ ওভার ৪ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল