চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীদের সুযোগ-সুবিধা ইস্যুতে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর থেকে চতুর্থ দিনের মতো দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ আছে। গতকালও এসব জেলা থেকে কোনো বাস ছাড়েনি বা প্রবেশ করেনি। ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজারসহ দূরবর্তী গন্তব্যের যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। জরুরি প্রয়োজনে বিকল্প পথে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। বাড়তি চাপ পড়েছে রাজশাহী-ঢাকাগামী ট্রেনগুলোয়। মালিকপক্ষের দাবি, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হলেও তারা যত্রতত্র যাত্রী তোলা ও অতিরিক্ত খোরাকি ভাতার দাবি জানায়। প্রতিবাদস্বরূপ বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একতা ট্রান্সপোর্ট ও লোকাল ছাড়া অন্যান্য দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বজলুর রহমান রতন বলেন, ‘চলতি মাসেই বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরা দুই দফা বাস বন্ধ করেছিলেন। ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বৈঠকে সমঝোতার পর বাস চালু হয়। কিন্তু নতুন করে শ্রমিকরা অযৌক্তিক দাবি তুলেছে।’
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি বলেন, ‘শুক্রবার থেকে নতুন বেতন-ভাতা বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু মালিক পক্ষ বৃহস্পতিবার রাতেই বাস বন্ধ করে দিয়েছে। সবাইকে এক নিয়মে আনার জন্য কিছু দাবি উঠেছে; যা আগে থেকেই পরিবহনগুলোয় বিভিন্ন নিয়মে দেওয়া হতো।’