বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর হুমকিতে ‘ভয় পাই না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু।
তিনি বলেন, “নিক্সন চৌধুরীর অকথ্য ভাষায় শামা ওবায়েদ ভয় পায় না। গণতন্ত্রের স্বার্থে যতবার হুংকার ছাড়তে হয়, ততবার হুংকার ছেড়ে যাব। তার এমন কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা আমার পছন্দ হয় না।”
শামা ওবায়েদ আরও বলেন, “দক্ষিণবঙ্গে শামা ওবায়েদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার নিক্সন কে? ১৯৭১ সালে দক্ষিণবঙ্গে আমার বাবা (বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমান) মুক্তিযুদ্ধে সংগঠকের ভূমিকায় ছিলেন। তিনি দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে ও মানুষের ভোটাধিকার রক্ষার্থে বহুবার হুংকার ছেড়েছেন। আমি তার সন্তান হিসেবে দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে যদি একশ’ বার হুংকার ছাড়তে হয়, ছাড়ব।”
মঙ্গলবার বিকালে নিক্সন চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শামা ওবায়েদ।
এর আগে গত সোমবার বিকালে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী শামা ওবায়েদকে বেয়াদব আখ্যা দিয়ে বলেন, “নগরকান্দার শামা আপা পল্টনের সমাবেশে যেভাবে চিৎকার দেয়, বাবারে বাবা। আপনার (শামা) যতটুকু যোগ্যতা, ততটুকু বলেন। আপনাকে দেখলাম আপনি আমার নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) তুই-তোকারি করছেন। আপনি একজন নারী।”
নিক্সন বলেন, “আপনার বাবা (মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমান) একজন বড় রাজনীতিক ছিলেন। আপনার বাবারও কিন্তু এই সাহস ছিল না। আপনি তার মেয়ে। ছোট মুখে বড় কথা বলেন। আপনি সাবধান হয়ে যান।”
শামাকে হুঁশিয়ারি করে দিয়ে নিক্সন চৌধুরী আরও বলেন, “ভবিষ্যতে যদি নেত্রীকে নিয়ে বেয়াদবি করে বক্তব্য দেন তাহলে দক্ষিণবঙ্গে আপনাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। বেয়াদব, এমন একটা বেয়াদব আবার নির্বাচন করবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমরা লাবু মামার (ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী) সঙ্গে আছি। নির্বাচনে এই বেয়াদবকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা আপনার সঙ্গে থাকব। আগামীতে যদি আমার নেত্রীকে এই বেয়াদব তুই-তোকারি কইরা কথা বলে তাহলে তার জিভ টাইনা আমরা ছিঁড়ে ফেলব।”
সালথায় জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. খায়রুজ্জামান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুনির মো. শহীদুল হক রাসেল।
সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ছয়জন ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ১১ জন সিভি জমা দেন। সম্মেলন থেকে বর্তমান কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে নতুন কমিটি ঘোষণা ছাড়াই রাত ৯টার দিকে সম্মেলন সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম
