বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈশ্বরদী বাইপাস-আজিমনগর স্টেশনের মধ্যবর্তী রেলপথের ফিটিংস (রেল, স্লিপার, ইআরসি, লাইনার, রাবার প্যাড) নিয়মিতই খোয়া বা চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে সুষ্ঠু ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই ওই অংশে রাতে মানুষ যাতায়াত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সম্প্রতি রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডল স্বাক্ষরিত চিঠিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি এ অনুরোধ জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের রেললাইনের ফিটিংসগুলো (রেল, স্লিপার, ইআরসি, লাইনার, রাবার প্যাড) প্রতিনিয়ত রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমেই এর ওপর দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরাপদে ট্রেন চলাচল করে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈশ্বরদী বাইপাস-আজিমনগর স্টেশনের মধ্যবর্তী কিলোমিটার ২১২/২-২১৩/০ এবং ২১০/২-৮ (আপ ও ডাউন) এ বিভিন্ন সময়ে রেললাইনের বিভিন্ন ফিটিংস (পেড্রোল ক্লিপ, কাভার প্লেট, হুক বোল্ট ইত্যাদি) চুরি হয়ে রেলপথে সুষ্ঠুভাবে ট্রেন চলাচলে বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে ইতোপূর্বে এজাহার করা হয়েছে। এরপরও চুরি কমছে না।
এই সেকশনে ১০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করে থাকে। রেলওয়ে ট্র্যাকের বিভিন্ন ফিটিংস চুরি হতে থাকলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাই নিরাপদ ট্রেন চলাচল ও দুর্ঘটনা রোধকল্পে ঈশ্বরদী বাইপাস-আজিমনগর স্টেশনের মধ্যবর্তী কিলোমিটার ২১২/২-২১৩/০ এবং ২১০/২-৮ (আপ ও ডাউন) সহ অন্যান্য সব এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করা অতি জরুরি।
এ অবস্থায়, নিরাপদ ট্রেন চলাচল ও দুর্ঘটনা রোধকল্পে ঈশ্বরদী বাইপাস-আজিমনগর স্টেশনের মধ্যবর্তী কিলোমিটার ২১২/২-২১৩/০ এবং ২১০/২-৮ (আপ ও ডাউন) সহ অন্যান্য সব এলাকায় দিনের বেলায় বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মচারী লাইনে কর্মরত থাকে। তাই অন্তত সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত (১১ ঘণ্টা) রেললাইনের ওপর দিয়ে মানুষ যাতায়াত করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক