নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন রেখে বলেছেন, সাজা দিয়ে আমাদের কি রুখে দেওয়া যাবে?’ তখন নেতাকর্মীরা বলেন, ‘না’। তখন মহাসচিব বলেন, ‘একেকটা সাজায় একেকটা নেতা বের হয়ে আসছে। বিএনপি একটি ফিনিক্স পাখির মতো। এই সরকারকে পরাজিত না করে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে কেউ ক্ষান্ত হবে না’।
সোমবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার দেশের বাইরে সুচিকিৎসার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছিল। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার হাতে কিছু নেই! আদালতের কথা বলেন। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে এ দেশের মানুষ এই ফ্যাসিস্টদের কাউকে ছাড়বে না। এই আওয়ামী এখন কোন রাজনৈতিক দল নয়, তারা ফ্যাসিস্ট। এরা সম্পূর্ণভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। এরা আর মানুষের দল নয়’।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী,
ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদলের নেতা নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।
সমাবেশ উপলক্ষে দুপুরের আগে থেকেই রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে হাতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান লেখা প্লেকার্ড ও নিজ সংগঠনের ব্যানার নিয়ে সমবেত হতে থাকেন। সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. সুমন ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, গুলশান বনানী ক্যান্টেনমেন্ট ও ভাষাণটেক থানা বিএনপির নেতা কামাল জামান মোল্লা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, কাউন্সিলর আলী আকবর, মহানগর যুবদল নেতা শরীফ উদ্দিন জুয়েল, আদাবর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হাসান জীবন, তুরাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ ভূঁইয়া, শ্যামপুর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলীম আল বারী জুয়েল, ডেমরা থানা বিএনপির সাবেক ছাত্রনেতা মনির হোসেন খান, মিরপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মতিন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, কাফরুল থানা বিএনপির আহ্বায়ক একরাম হোসেন বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক ও সাব্বির দেওয়ান জনি, ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম মিয়া, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এস আহমাদ আলী, দারুসসালাম থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এইচ এম ইমরানসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশেকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ