ঘূর্ণিঝড় দানা আজ উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় আজ ও আগামীকাল দুই দিন বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় উপকূলবর্তী এলাকাগুলো থেকে জনসাধারণকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ঐসব এলাকার সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
গতকাল সকাল হতে মেঘাচ্ছন্ন ছিল কক্সবাজারের আকাশ। উপকূলে শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টিপাত। এরই মধ্যে সমুদ্রে নামতে দেখা গেছে পর্যটকদের। কক্সবাজার সৈকতে দায়িত্বরত সি সেইফ লাইফ গার্ডের সিনিয়র কর্মী ওসমান গণি বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল হওয়া সাগরে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে পানিতে যারা নামছেন তাদের সতর্কভাবে থাকতে মাইকিং করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে লক্ষ্মীপুর-ভোলা ও বরিশাল নৌরুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। দানার প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে থেমে থেমে দিনব্যাপী গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা খুলনায় গতকাল সকাল থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খুলনায় ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব শেল্টারে ৩ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রায় ৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবককে।
দানার প্রভাবে ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। গতকাল সকাল থেকে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। পাশাপাশি উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলাসংলগ্ন মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। ইতিমধ্যে নদী ও সাগর তীরবর্তী এলাকায় থাকা মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে প্রশাসন। জেলার ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১৪টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে সাতক্ষীরায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় উপজেলার সরকারি ১০২টিসহ মোট ১৬২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন