দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে দুদক।’
রবিবার বিকেলে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম কোনো গণঅভ্যুত্থানের পর গণরোষের মুখে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মসজিদের ইমাম (বায়তুল মোকাররম) পর্যন্ত পালিয়ে গেছেন। ছাত্রজনতা সেটি করে দেখিয়েছে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ নিয়ে আরও তথ্য পেলে সাংবাদিকদের জানানো হবে। দুদকের গতি বেড়েছে এটা আপনারাই লিখেছেন। রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। সেই দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমরা কোনো লুকোচুরি করব না। সময় মতো সব কিছুই সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হবে।’
আবদুল মোমেন বলেন, ‘রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা থাকেন, তাদের ধরা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার জনপ্রত্যাশা পূরণে কাজ করছে। সেই প্রত্যাশা পূরণে দুদক কাজ করে যাবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মোকাবিলা করার সৎ-সাহস আমাদের আছে। পুলিশ মামলা করার পর সত্য উদঘাটন করে। আর দুদক সত্য উদঘাটনের পর মামলা করে। সেই কারণে দুদকের মামলাগুলো যাতে জনপ্রত্যাশার পক্ষে যায়, সেটাই সবাই আশা করি।’
সবশেষে দুদক চেয়ারম্যান গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে নিজের সম্পদের তথ্য তুলে ধরেন।
এ সময় কমিশনের অন্য দুই সদস্য সাবেক জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ, দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিনসহ দুদকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ