জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে লিডারশিপ ধ্বংস করেছে। আর এতে বাংলাদেশে কোনো লিডার তৈরি হয়নি। তৈরি হয়েছে শেখ হাসিনার দাস আর দালাল। কিংবা আমাদের মতো কিছু নিরব দর্শক। যারা চুপচাপ সবকিছু সয়ে গেছে।
সারজিস বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে একটি দায়িত্ব নিয়েছে। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো রাজনৈতিক প্লাটফর্ম না, আগামীতেও হবে না। আগামীর বাংলাদেশে যে সরকারে আসুক, জবাবদিহিতায় জাতীয় নাগরিক কমিটি প্রেসার ক্রিয়েট গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে। আর আগামীর বাংলাদেশে লিডারশিপ তৈরির কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, এই লিডারশিপ শুধু রাজনৈতিক লিডারশিপ হবে সেটা না, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আমাদের লিডার প্রয়োজন। আর এই লিডার তৈরির কাজটা করবে আমাদের জাতীয় নাগরিক কমিটি। পাশাপাশি এই প্লাটফর্মটি একটি প্রেসার ক্রিয়েট গ্রুপ হবে কাজ করবে। যা আগামীর বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাবে বলেও জানান তিনি।
পঞ্চগড় রাইজিং শিরোনামে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সারজিস আলম।
সারজিস আলম বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের মগজে তদবির ঢুকিয়ে গেছে। যেন তদবির ছাড়া কোনো কাজ হয় না। আমার অনুষ্ঠানে আসতে দেরী হয়। কারণ অসংখ্য মানুষ তদবির নিয়ে আসে। তাদের কথা শুনতে দেরী হয়। কিন্তু তাদের কথা রাখতে পারি না। এজন্য অনেকে মন খারাপ করে।
সারজিস বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৬ বছরে মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল দৃশ্যমান করেছে। কিন্তু একটা দেশের উন্নতি শুধু কয়েকটা অবকাঠামোর উন্নতি দিয়ে হতে পারে না। এরকম কয়েকটা অবকাঠামো বানানোর জন্য শুধুমাত্র একটা ট্রামেই বা সরকার যথেষ্ট। কিন্তু গত ৩ থেকে ৪টি ট্রামে যে জিনিসটি হয়েছে তা হলো এই অবকাঠামো গুলো মানুষের চোখের সামনে করা, যাতে তারা দেখে। এবং এগুলোকে সামনে রেখে ভেতরে ভেতরে যত অপকর্ম করা যায় তা করা হয়েছে। এখন সমস্যা হচ্ছে এরকম কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে উসিলা করে কেউ যখন লুটপাটের সাম্রাজ্য চালায় তখন সেটা বৃহৎ সার্থে দেশের জন্য সমস্যা।
এ সময় স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী জেলা নেতৃবৃন্দ ও নাগরিক সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত