বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। যারা ভালো সাংবাদিকতা করে মানুষ তাদের ওপর আস্থা রাখে, বিপদ আসলে পাশে দাঁড়ায়। ভালো সাংবাদিকতা না করায় আজ অনেককে পালাতে হয়েছে। এটা গণমাধ্যমের জন্য বড় লজ্জার।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ বলেন।
বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, বস্তুনিষ্ঠতাই সাংবাদিকতার মূল বিষয়। এটি ছাড়া সঠিক সাংবাদিকতা সম্ভব নয়। গণমাধ্যমে সত্যের অপলাপ ও ফরমায়েশি সাংবাদিকতা কাম্য নয়। অপসাংবাদিকতা সমাজ, দেশ তথা মানব সভ্যতাকে কলুষিত করে। সত্যের জয় সবসময় নিশ্চিত। তাই সত্য প্রকাশ করা ও সত্য অনুসন্ধান করাই সাংবাদিকতার একমাত্র কাজ।
মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী বিপ্লব হাসানের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, সহসভাপতি একেএম মহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল।
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, এখন বাংলাদেশের বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা খুব একটা দেখা যায় না। বস্তুনিষ্ঠতা মানে হলো কোনো ঘটনাকে বা বিষয়কে বাড়িয়ে বা কমিয়ে না বলা। রিপোর্টারের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ যাই থাক, কোনো মন্তব্য রিপোর্টে থাকবে না। ঘটনা এবং বিষয়ে অনিবার্যভাবে একাধিক পক্ষ থাকে। পক্ষপাতহীনতা মানে সাংবাদিক কোনো পক্ষে নেই এবং ভারসাম্যপূর্ণভাবে সব পক্ষের কথা তথ্যের মধ্যে দিয়েছেন। ন্যায্যতা মানে দুইজনের দাবিই যত ন্যায্যভাবে সম্ভব তুলে ধরে রিপোর্ট করা।
বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন বলেন, গণমাধ্যম একটা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে বিবেচিত। গণতন্ত্র, সুশাসন ও আইনের শাসনের নিরন্তর সহযোগী। কাজেই সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ভালো সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি অপ-সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে হবে। সাংবাদিকরা যেন স্বস্তি নিয়ে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে সাংবাদিক ইউনিয়ন কাজ করছে।
এসময় তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর দেশে সাংবাদিকতা বলে কিছুই ছিল না।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম